সিটিজি জার্নাল নিউজঃ চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন। নিজের যে দুটি পরিচয় দিয়েছেন, দুটোই ভুয়া। ভুক্তভোগী থানায় জিডি করেছেন।
ভুক্তভোগী মো. আসাদুজ্জামান কলাবাগানের আবেদ আলী সড়কে থাকেন। চলতি মাস থেকে তাঁকে ডেনমার্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সিওডব্লিউআইতে সাইট সুপারভাইজার (কক্সবাজার) পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ছিলের মণিপুরিপাড়ার বাসিন্দা মো. আক্তার হোসেন। ভুক্তভোগীর দাবি, টাকা দেওয়ার ৬৯ দিন পার হলেও তিনি চাকরি পাননি।
কোনো এক বিকেলে হাঁটতে গিয়ে এই দুই ব্যক্তির পরিচয় হয় সংসদ ভবন এলাকায়। আক্তার হোসেন নিজেকে ওই প্রতিষ্ঠানটির এদেশীয় পরিচালক (কান্ট্রি ডিরেক্টর) বলে পরিচয় দেন।
আসাদুজ্জামানের দাবি, চাকরি পেতে গত বছরের ২২ নভেম্বর বিকেলে তিনি আক্তার হোসেনকে প্রথমে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা, পরে বিকাশে ২০ হাজার টাকা ও হাতে ১০ হাজার টাকা দেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মাসে ৬০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি দেবে বলে আমাকে ই-মেইলে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার দিয়েছে আক্তার হোসেন। এখন চাকরিও দেয় না, টাকাও ফেরত দেয় না। উল্টো ফোনে বা এসএমএসে গালিগালাজ করে এবং গুম করবে বলে হুমকি দেয়।’
আক্তার হোসেন আন্তর্জাতিক যে প্রতিষ্ঠানের এদেশীয় পরিচালক বলে পরিচয় দিয়েছেন, বাংলাদেশে তার কোনো কার্যালয় নেই। আক্তার হোসেন পেশায় আইনজীবী বলে কাছে পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর ভিজিটিং কার্ডে তিনি ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য (নম্বর-২১৬৪৭) লেখা। কিন্তু আইনজীবী সমিতির ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, ওই নম্বরে অন্য এক আইনজীবীর নাম ও পরিচয় লেখা।
আক্তার হোসেন বলেন, ‘আসাদুজ্জামানের কাছ থেকে আমি কেবল ২০ হাজার টাকা নিয়েছি। আমি তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছি। যে টাকা নিয়েছি, তা ফেরত দিয়ে দেব।’
একপর্যায়ে তিনি বলেন, বর্তমানে তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করছেন। কিন্তু কোন প্রকল্প, কোন সংস্থা তা তিনি বলেননি। মণিপুরিপাড়ায় তিনি একজন বাড়িওয়ালা বলে জানান তিনি।
আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে ১৩ জানুয়ারি তেজগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন আসাদুজ্জামান। এর তদন্তের দায়িত্বে আছেন তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘এই বাদী ও বিবাদী দুজনেরই ঝামেলা আছে। এঁদের নিয়ে আমি অশান্তিতে আছি। ঝামেলা মেটানোর জন্য দুজনকে ডেকেছি। তবে বিবাদী আসেননি। তবে তিনি ফোনে আমাকে বলেছেন, তিনি আসাদুজ্জামানের কাছ থেকে ৩৭ হাজার টাকা নিয়েছেন।’
একে/এম
Powered by : Oline IT