রাজধানীর উত্তরা ও চট্টগ্রামের একটি গ্যারেজ থেকে দুটি বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। উত্তরা থেকে টয়োটা হ্যারিয়ার লেকসাস ও চট্টগ্রাম থেকে ল্যান্ড রোভার ডিফেন্ডার মডেলের একটি করে গাড়ি জব্দ করা হয়। মঙ্গলবার এ দুটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. সহিদুল ইসলাম জানান, উত্তরা থেকে জব্দ করা গাড়িটি টয়োটা হ্যারিয়ার লেকসাস, যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর: ভোলা ঘ-১১-০০৩৪, সিসি-2400, তৈরির সন-২০১৭, চেসিস নম্বর- ACU30-0072128। গাড়িটির কান্ট্রি অব অরিজিন- জাপান। বিলাসবহুল গাড়িটির শুল্ক করাদি ফাঁকি দিয়ে এ দেশে আনা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গাড়ির মালিক ও ব্যবহারকারী চট্টগ্রামের একজন ব্যক্তি। গাড়ি শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের নজরদারিতে ছিল। গাড়ির মালিক চট্টগ্রামের হলেও শুল্ক গোয়েন্দার তৎপরতা থাকায় উত্তরা এলাকায় গাড়িটি লুকিয়ে রাখা হয়। যা পরবর্তীতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর অভিযান পরিচালনা করে উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর সড়কের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়িটির আনুমানিক মূল্য এক কোটি টাকা।
শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রামে জব্দ হওয়া গাড়িটি ল্যান্ড রোভার ডিফেন্ডার মডেলের। শুল্ক গোয়েন্দার নজর এড়াতে ও শুল্ক গোয়েন্দার তৎপরতার ভয়ে চট্টগ্রামের একটি গ্যারেজে গাড়িটির যন্ত্রাংশ খোলা অবস্থায় রাখা হয়। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের তদন্ত টিম চট্টগ্রামের একটি গ্যারেজে গাড়িটি আছে সন্ধান পেয়ে গাড়িটি সাময়িক আটক করে গ্যারেজ মালিকের জিম্মায় রাখে।
গাড়িটি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়ার পর গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে বলে জানান অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. সহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ল্যান্ড রোভার মডেলের গাড়িটির দাম এক কোটি ৭৫ লাখ টাকা। চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন যাবৎ গাড়িটি ব্যবহার হচ্ছিল। রেজিস্ট্রেশন নম্বর: ভোলা ঘ-১১-০০৩৬, সিসি- ২৫০০ , তৈরির সন-১৯৯৮।’
জব্দ গাড়ি দুটি বিস্তারিত তদন্ত শেষে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা এই গাড়ি দুইটি যারা ব্যবহার করছিল, তাদের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইন ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. সহিদুল ইসলাম।
Powered by : Oline IT