নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মুওদুদ আহমেদ শাওন হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক রবিউল আউয়াল এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মাকসুদা বেগম।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সাজ্জাদ হোসেন বাসু ও রাতিব হোসেন বাবুল। রায় দেওয়ার সময় সাজ্জাদ হোসেন বাসু আদালতে উপস্থিত থাকলেও রাবিক হোসেন পলতাক রয়েছে। নিহত শাওন সিদ্ধিরগঞ্জের এসও রোড এলাকার মো.নাসির হোসেনের ছেলে।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মাকসুদা বেগম জানান, ২০১৪ সালের ৯ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জের মুসলিম পাড়ার বাসা থেকে বের হয়ে শাওন নিখোঁজ হয়। তিন দিন পর ১০ জুলাই সোনারগাঁওয়ের বারদী দলরদী গ্রামের একটি ধনচে ক্ষেত থেকে শাওনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই সময় শাওনের পরিচয় না পাওয়ায় ময়না তদন্ত শেষে ১১ জুলাই মাসদাইর কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে লাশ দাফন করা হয়। পরে সোনাগাঁও থানা পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ১২ জুলাই শাওনের পরিবার লাশ শনাক্ত করলে আদালত লাশটিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। ১৬ জুলাই একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে শাওনের লাশ উত্তোলন করা হয়। পরবর্তীতে সোনারগাঁ থানা পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা সাজ্জাদ হোসেন বাসুকে গ্রেফতারের করে। পরে সে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
ব্যবসায়ীক লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে তার ঘনিষ্ট বন্ধু বাসু এবং বাবুল ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ধনচে ক্ষেতে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।
দীর্ঘ চার বছর পর মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। আদালত এই মামলায় ২৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে এ রায় ঘোষণা করেন।
নিহত শাওনের বাবা নাসির হোসেন রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন,‘উচ্চ আদালতেও যেন এই রায় যেন বহাল থাকে। তিনি মামলার রায় দ্রুত কার্যকরের জানান।’
Powered by : Oline IT