কারাবন্দিদের খাদ্য সরবরাহ, স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, দ্রব্যের অতিরিক্ত দাম, কারাবন্দিদের চেক-ইনসহ নানা অনিয়ম পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম। কারা কর্তৃপক্ষকে এসব বিষয়ে সতর্ক করে সংশোধনের জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৩০ জুলাই) দুদক হটলাইনে (১০৬) আসা অভিযোগের ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অভিযান চালায় দুদক। সংস্থাটির উপ-পরিচালক এস এম সাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি টিম কারাগার এলাকায় চার ঘণ্টা ধরে এ অভিযান পরিচালনা চালায়।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘দুদক টিম কারাগারের ভেতরে ঢুকে হাসপাতাল, চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ সরেজমিনে পরিদর্শন করে। এছাড়া কয়েদিদের মাধ্যমে তৈরি করা পোশাক ও তৈজসপত্র উৎপাদন ব্যবস্থা পরিদর্শন করে। এ সময় কারাগারের খাদ্য প্রস্তুতকরণ, রান্না ও সরবরাহ ব্যবস্থা পরিদর্শন করে দুদক টিম ব্যাপক অনিয়মের সন্ধান পাওয়া যায়। প্রতিটি দ্রব্যের মূল্য নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি নেওয়া হয়, দর্শনার্থীদের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে।’
প্রণব কুমার ভ্ট্টাচার্য আরও বলেন, ‘দুদক টিম দর্শনার্থীদের প্রবেশ, সাক্ষাৎকার ও কথোপকথন সরেজমিনে পরিদর্শন করে। এখানে ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। কয়েদিদের সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাৎকারের জায়গায় স্থান সংকুলান হয় না। প্রচণ্ড শব্দের কারণে দর্শনার্থীরা কিছুই শুনতে পান না।’
এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা জানান, কারাবন্দিরা কারাগারে প্রবেশের সময় চেক-ইন ব্যবস্থায় অনিয়ম পাওয়া গেছে। একটি স্ক্যানিং মেশিন থাকলেও তা দীর্ঘদিন ধরে অচল। এসব সমস্যা ও অনিয়ম দূর করতে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কারা প্রশাসনকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘ চার ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযান প্রসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘কারা ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক অনিয়ম আছে। এটা তাদের সিস্টেম ফেইলর। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে। কর্তৃপক্ষকে সংশোধনের সময় দেওয়া হয়েছে, নতুবা দুদক আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য হবে।’
Powered by : Oline IT