বেনাপোল প্রতিনিধি || চাচাত বোনের চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে এসে শার্শার বাগআঁচড়ায় চোর চক্রের গণপিটুনির শিকার হয়েছে সেকেন্দার আলী (৩৫) নামের এক ভ্যান চালক।
সে শার্শা উপজেলার আমলাই গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে। মোবাইল চোর নাঈমের দুলাভাই ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতা মোস্তাক আলী নিজের শ্যালককে বাঁচাতে গিয়ে এ কান্ড ঘটিয়েছে। নাঈম একই এলাকার রফিক ওরফে বাবু মাওলানার ছেলে। এ ঘটনা রবিবার জানাজানি হয়ে পড়লে এলাকায় ছিঃ ছি” রব উঠেছে।
গণপিটুনির শিকার সেকেন্দার আলী বলেন, তার চাচাত বোন পারুলের মোবাইল ফোনটি নাইম চুরি করে। মোবাইলটি ফেরত দিতে নাঈমের কাছে ফোন দিলে সে শনিবার বিকালে বাগআঁচড়ার মূয়ূরি সিনেমা হলের কাছে এসে মোবাইলটি নিয়ে যেতে বলে। কথামত সিনেমা হলের কাছে গেলে কয়েক জন লোক ছুটে এসে আমাকে বেধড়ক মারপিট করে চুরি যাওয়া মোবাইলটি ফেরত চায়।
আমি মোবাইল চুরি করিনি তা ফেরত দেব কিভাবে। ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাই, সমিতির টাকা শোধ করি। অথচ ওরা আমাকে মিথ্যা বলে বাগআঁচড়ায় ডেকে নিয়ে প্রচন্ড মেরেছে। বলে তুই মোবাইল নিছিস মোবাইল দে। চাচতো বোন পারুলের মোবাইল চুরি করেছে বাবু মাওলানার ছেলে নাইম। এসময় সেকেন্দারের কাছ থেকে একটা মোবাইল ও পাঁচ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয়। সেকেন্দার আরও বলে, আমলাই গ্রামের বুলু মেম্বারের পরামর্শে এই অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। সে এখন শয্যাসায়ী।
মোবাইল ফোনের মালিক পারুলের বাবা বিল্লাল হোসেন বলেন, সেকেন্দার মোবাইল চুরি করেনি। মোবাইল চুরি করেছে মাওলানার ছেলে নাঈম। নাঈমকে বাঁচাতেই সেকেন্দারের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে।
সেকেন্দারের মা ফরিদা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে এতো মারা মেরেছে আমাদের উঠানে রক্ত পড়ে আছে। মারার পর ওরা বলেছে কাউকে বলবিনা। বল্লে জানে মেরে ফেলব। এখন টাকা ও মোবাইল ফেরত দিয়ে আপোস করতে বলছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শামসুজ্জামান বুলু বলেন, মোবাইল চুরির ঘটনায় বাগআঁচড়ায় বিচার শালিস হয়েছে। রফিক মাওলানার ছেলে নাঈম মোবাইল চুরি করেছে বলে শোনা যাচ্ছে। আমি এ সব ব্যাপারে কিছু জানি না। আমাকে জড়াবেন না।
শার্শার বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির বলেন, মোবাইল চুরির ঘটনায় কাউকে মারধোরের ঘটনায় কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Powered by : Oline IT