শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ৮০ হজার ৮৮৬ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাশ করেছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮১৪ জন।
“জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৩১৫ জন, যা গতবছর ছিল ১৪ হাজার ১৩৫ জন।”
চট্টগ্রাম বোর্ডের অধীনে গত পাঁচ বছরে এটি সর্বনিম্ন পাশের পাশের হার বলে জানান তিনি।
বেড়েছে পরীক্ষার্থী, কমেছে পাশ
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবছর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এক লাখ ৮৩ হাজার ৫০৬ জন নিবন্ধিত পরীক্ষার্থী থাকলেও অংশ নিয়েছে এক লাখ ৮০ হাজার ৮৬৮ জন। গতবছর অংশ নিয়েছিল এক লাখ ৭৯ হাজার ৯৫ জন।
এবছর পাশ করেছে এক লাখ ৪৬ হাজার ৮১৪ জন, যা গত বছরের চেয়ে ১৫ হাজার ৭১০ জন কম। গত বছর পাশের সংখ্যা ছিল এক লাখ ৬২ হাজার ৫২৪ জন।এদিকে পাশের হারের সঙ্গে কমেছে জিপিএ-৫ পাওয়াদের সংখ্যা। এবছর চট্টগ্রাম বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৩১৫ জন, যা গতবছর ছিল ১৪ হাজার ১৩৫ জন।
পার্বত্য অঞ্চলের পাশাপাশি চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলায় কমেছে পাশের হার
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সার্বিক পাশের হার কমার জন্য পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়ী করা হলেও এবছর তিন পার্বত্য জেলার পাশাপাশি চট্টগ্রামেও পাশের হার কমেছে।
এবছর রাঙামাটি জেলায় পাশের হার ৭৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৮৮ দশমিক ৩২ শতাংশ। বান্দরবান জেলায় ৭৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ যা গত বছর ছিল ৮৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ ও খাগড়াছড়ি জেলায় এবছর পাশের হার সবচেয়ে কম ৬৮ দশমিক ১৭ শতাংশ যা গত বছর ছিল ৮৯ দশমিক ৭০ শতাংশ।
এদিকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে এবছর পাশের হার ৮৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ যা গত বছর ছিল ৯৪ দশমিক ১৮ শতাংশ।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে পরীক্ষার্থী পাশের হার ৭৯ দশমিক ০৬ শতাংশ যা গত বছর ছিল ৯০ দশমিক ৬১ শতাংশ।সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শীর্ষ ৫ স্কুল
জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হিসেবে গত বছরের মতো এবছর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এবছর শীর্ষে আছে নৌ বাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এর পরে রয়েছে খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) উচ্চ বিদ্যালয়।
নৌ বাহিনী স্কুল থেকে এবছর ৩১৯ জন, খাস্তগীর স্কুল ও বাওয়া স্কুল ৩১১ জন করে শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
এছাড়া কলেজিয়েট হাই স্কুল থেকে ২৮২ জন ও নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৫৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
একে/এম