মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্টের তৃতীয় দিনের মধ্যাহ্নভোজের বিরতির সময় আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক ও শাহরিয়ার নাফীস। খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানলেও ক্রিকেট ছেড়ে যাচ্ছেন না তারা, নতুন ভূমিকায় ক্রিকেটের সঙ্গে কাজ করবেন।
এই দুই ক্রিকেটারকে বিদায় জানাতে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ সাবেক অনেক ক্রিকেটার ছিলেন।
অবসরের ঘোষণায় রাজ্জাক বলেছেন, ‘সব কিছুরই শেষ থাকে। আমারও শেষ করতে হতো। আমার বদলে এখন জুনিয়র ক্রিকেটাররা সুযোগ পাবে। আমি হয়তো অন্যভাবে ক্রিকেটারদের সাহায্য করবো। বিদায়ে আবেগ থাকলেও এটাই আসলে বাস্তবতা।’
আর নাফীস ২২ গজকে বিদায় বলেছেন এভাবে, ‘আমাদের চেয়েও বড় অনেক ক্রিকেটারের এই সৌভাগ্য হয়নি। বিসিবি ও কোয়াবকে ধন্যবাদ এরকম একটা আয়োজনের জন্য। যদি করোনা না থাকতো আমরা খেলে বিদায় নিতে পারতাম। ক্রিকেটকে তো মিস করবোই, তবে নতুন ভূমিকাতে ক্রিকেটের সঙ্গে থাকবো।’
মাঠের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও তারা কেউই ক্রিকেট ছেড়ে যাচ্ছেন না। রাজ্জাক তৃতীয় সদস্য হিসেবে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমনের সঙ্গে জাতীয় নির্বাচক কমিটিতে যুক্ত আছেন। অন্যদিকে নাফীস ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজারের দায়িত্ব পেয়েছেন।
বাংলাদেশের একমাত্র বোলার হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬০০ উইকেট শিকার রাজ্জাকের। তার উইকেট সংখ্যা এখন ৬৩৪। ৫ উইকেট নিয়েছেন ৪১ বার, ১০ উইকেট ১১ বার। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নিয়েছেন ৪১২ উইকেট। সেরা বোলিং ১৭ রানে ৭ উইকেট।
এছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও তার সাফল্য অনেক। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের প্রথম ২০০ উইকেট শিকারি বোলার তিনিই। এই ফরম্যাটে ১৫৩ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ২০৭ উইকেট। ১৩ টেস্টে তার শিকার ২৮ উইকেট। আর ৩৪ টি-টোয়েন্টি খেলে নিয়েছেন ৪৪ উইকেট।
এদিকে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নাফীস জাতীয় দলের হয়ে ২৪ টেস্ট, ৭৫ ওয়ানডে ও একটি-টোয়েন্টি খেলেছেন। সব মিলিয়ে তিন ফরম্যাটে তার রান ৩ হাজার ৪৬৮।
Powered by : Oline IT