পেশায় গার্মেন্টস শ্রমিক। কিন্তু নিজেকে পরিচয় দেন র্যাব কর্মকর্তা হিসেবে। প্রতারণার মাধ্যমে একাধিক নারীকে বিয়েও করেছেন। সবশেষ নোয়াখালীর হাতিয়ায় এক নারীকে বিয়ে করতে যান। হোটেলেও ওঠেন। কিন্তু, এবার ধরা খেলেন পুলিশের হাতে। ধরা খাওয়ার পর তার ভুয়া পরিচয়ের কথা স্বীকার করেন।
র্যাব পরিচয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা সদরের ওছখালী বাজার থেকে জহিরুল ইসলাম নাহিদ (৩০) নামের ভুয়া এই র্যাব কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। রবিবার (৮ এপ্রিল) ভোরে রেড সি আবাসিক হোটেল থেকে তাকে আটক করা হয়। হাতিয়া থানার ওসি কামরুজ্জামান শিকদার এই খবর নিশ্চিত করেন।
ওসি জানান, তিনি প্রতারকচক্রের সক্রিয় সদস্য। তার কাছ থেকে নগদ ১৫ হাজার টাকা, কয়েকটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও প্রতারণার বেশ কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
ওসি কামরুজ্জামান শিকদারের ভাষ্য, শনিবার (৭ এপ্রিল) সকালে জহিরুল ইসলাম নাহিদ র্যাবের অফিসার পরিচয় দিয়ে রেড সি আবাসিক হোটেলে ওঠেন। পরে, বিভিন্ন জায়গায় এই পরিচয়ে প্রতারণা করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে, স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তার গতিবিধি লক্ষ্য করতে থাকে। ভুয়া র্যাব নিশ্চিত হওয়ার পর রবিবার ভোরে পুলিশ তাকে রেড সি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তিনি তার নাম নাহিদ আহমেদ, বাড়ি বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় বলে জানান। কিন্তু তার সঙ্গে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম জহিরুল ইসলাম, বাবা সাইদুল ইসলাম মাস্টার, সাং- বালিগ্রাম, ৬ নম্বর ওয়ার্ড, নেত্রকোনা পাওয়া যায়। ওই ঠিকানায় তার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
Powered by : Oline IT