ভোলার মনপুরায় স্কুল লাইব্রেরিতে শিক্ষিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এনাম হাওলাদারকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার সকালে মনপুরা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সামসুদ্দিন সাগর ও সম্পাদক সুমন ফরজী স্বাক্ষরীত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো তাকে বহিষ্কার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে সাংগঠনিক নিয়ম বর্হিভূত ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে উপজেলা ছাত্রলীগেরসহ সভাপতি এনাম হাওলাদারকে আজীবনের জন্য ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতা এনাম হাওলাদার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সাকুচিয়া হারিছ রোকেয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকাকে লাইব্রেরিতে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করা হয়ছে। এ ঘটনায় ২ এপ্রিল রাতে ওই শিক্ষিকা বাদী হয়ে মনপুরা থানায় মামলা দায়ের করেন। এর পর থেকে ওই ছাত্রলীগ নেতা এনাম হাওলাদারগা ঢাকা দিয়েছেন।
অভিযোগকারী শিক্ষিকা জানান, গত ৩১ মার্চ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগ লীগেরসহ সভাপতি এনাম হাওলাদার বিস্কুট নেওয়ার কথা বলে স্কুল লাইব্রেরিতে ঢুকে আমাকে আপত্তিকর প্রস্তাব দেন। এসময় তাকে লাইব্রেরি থেকে চলে যেতে বললে তিনি জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় তিনি কোনও রকমে নিজেকে ছাড়িয়ে নিচে এসে দেখেন গেটে তালা দেওয়া। পরে তার কান্নাকাটির শব্দ শুনে এলাকার লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। তখন ওই ছাত্রলীগ নেতা এই ঘটনার কথা কাউকে বলতে নিষেধ করেন। এমনকি মেরে ফেলারও হুমকি দেন।
অভিযোগকারী শিক্ষিকার স্বামী জানান, ছাত্রলীগ নেতার হুমকিতে তার স্ত্রীর স্কুলে যাওয়া বন্ধ রয়েছে। তিনি এই ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা এনাম হাওলাদারের মোবাইফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েক জন জানান, ওই ছাত্রলীগ নেতার বাবা জাহাঙ্গীর মেম্বার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার কারণে এনাম হাওলাদার এলাকায় খুব বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করে।
এলাকাবাসী আরও জানান, অভিযুক্ত এনাম হাওলাদার স্কুলের একটি কক্ষ দখল করে সেখানে বসবাস করছে।
এ বিষয়ে মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাহীন খাঁন জানান, এঘটনায় ওই শিক্ষিকা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরপর থেকে পুলিশ আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।
Powered by : Oline IT