বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর আইসফ্যাক্টরি রোড থেকে ৪ জনকে গ্রেপ্তারের পর এমনটাই দাবি করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, এসময় তাদের কাছ থেকে মিলেছে বিভিন্ন ডিজাইনের ৩টি ছোরা। উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিক্সাটি। ‘পেশাদার ছিনতাই চক্রের’ সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও ভাষ্য পুলিশের।
গ্রেপ্তারকৃত চারজন হলেন- বাকলিয়া থানা এলাকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. মাইনউদ্দিন (২৬), কোতোয়ালী থানা এলাকায় মৃত মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ আবু তাহের (৫৫), বাকলিয়া থানা এলাকার মোহাম্মদ রফিকের ছেলে আবুল কাশেম (৩২), বায়েজীদ বোস্তামী থানা এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে মো. হানিফ (৩৫)। এদের মধ্যে হানিফ সিএনজি চালক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আইস ফ্যাক্টরী রোডে ‘রুটিন মাফিক’ ফাঁদ পাতেন ছিনতাই চক্রের সদস্যরা। তাদের আজকের ‘টার্গেটে’ ছিলেন একজন নারী চিকিৎসক। তবে ওই নারী চিকিৎসকের কাছ থেকে ছিনতাই করতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ে যান নিজেরাই। কারণ কাছাকাছি ছিলো পুলিশের পেট্রোল টিম। ওই চিকিৎসকের চিৎকারে সেই টিম ঘটনাস্থল থেকেই ‘হাতে নাতে’ গ্রেফতার করে এ ৪ ছিনতাইকারীকে।
এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় স্টিল ও কাঠের পৃথক ৩টি টিপ ছোড়া। বাট সহ যার প্রতিটির উচ্চতা ৫.৫ থেকে ১০ ইঞ্চি। উদ্ধার করা হয় ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিক্সাটিও; যার নম্বর ‘থ-১১-৯৭২৮’।
সদরঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহমদ উল্যাহ ভূঁইয়া বলেন, ‘আইস ফ্যাক্টরী রোড থেকে এ চার ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সকালে ছিনতাই করতে সেখানে উৎপেতে ছিলো।’
Powered by : Oline IT