মিরসরাই প্রতিনিধি || মিরসরাইয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ চলাচলের রাস্তার মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ৯নং সদর ইউনিয়নের শ্রীপুর গড়িয়াইশ বাইপাশ সড়কের পূর্ব প্রান্তে এস্কেবেটার দিয়ে গত ১৩দিন ধরে একটানা রাস্তার মাটি কেটে নিলেও খবর নেই প্রশাসনের।
সরেজমিনে শ্রীপুর গড়িয়াইশ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার মাটি এস্কেবেটর দিয়ে কেটে পিকআপে করে পাশ্ববর্তী এস.বি.কে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে ।
এলাকাবাসি জানান, বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে সাবেক চেয়ারম্যান জাফর আহমদ চৌধুরী রাস্তাটি দুইদফায় উচু করে সংস্কার করেছিলেন। অথচ এলাকার মানুষের গুরুত্বপূর্ন সড়কটিতে পড়েছে শকুনের নজর।
গত১৯ মার্চ থেকে একটানা মাটি কাটার চলছে অথচ প্রশাসনের কোন মাথাব্যথা নেই। রাস্তার মাটি কেটে ফসলি জমির সাথে মিশিয়ে দিয়ে পার্শ্ববর্তী এসবিকে নামক ব্রিক ফিল্ডে সেই মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মৌসুমী ফসলের ফলন নষ্ট করে। এতেও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন স্থানীয় নিরীহ কৃষকরা। মাটি কাটার সিন্ডিকেট প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে মুখ বুঝে সহ্য করে যাচ্ছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসি ও কৃষকরা।
জানা গেছে, রাস্তা কেটে ফেলার সাথে জড়িত রয়েছে শ্রীপুর গ্রামের স্বপন কুমার দত্ত, নুর হোসেন আরিফ, ইব্রাহিম ও গড়িয়াইশ গ্রামের হানিফ। আমার জমির উপর দিয়ে মাটি নেওয়ার সময় বাধা দিলে তারা আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে উল্টো আমার বিরুদ্ধে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দিয়েছে।
রাস্তা কাটার সাথে জড়িত স্বপন কুমার দত্ত বলেন, রাস্তার মাটি কাটা হচ্ছেনা, বরং উপর নিচ সমান করে দেয়া হচ্ছে। এই মাটি কাটার জন্য এস্কেবেটর ব্যবহার করতে হচ্ছে। তাই এস্কেবেটরের খরচ তুলতে কিছু মাটি বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে বলে ¯স্বীকার করেন তিনি।
মিরসরাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সাইফুল্লাহ মজুমদার জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি, তবে কেউ আমাকে লিখিত অভিযোগ দেয়নি এখনো পর্যন্ত। এই ব্যাপারে আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছি, তিনি সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে বলে জানিয়েছে।
এই ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ কায়সার খসরু বলেন, রাস্তার মাটি কাটার বিষয়ে আমি অবগত নই। রবিবার অফিস শুরু হলে আমি ঘটনাস্থলে সার্ভেয়ার পাঠিয়ে এই বিষয়ে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
Powered by : Oline IT