নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে লাইটার জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবির ঘটনায় মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) ভোর থেকে এখন পর্যন্ত আরও ছয় জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। রবিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাওয়া এমভি সাবিত আল হাসান লঞ্চকে এসটি-৩ নামের একটি লাইটার জাহাজ ধাক্কা দিলে যাত্রীবাহী লঞ্চটি উল্টে ডুবে যায়। লঞ্চটিতে প্রায় অর্ধশত যাত্রী ছিল।
সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আইডব্লিউটি এর উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ৩৫ ফুট গভীর পানির নিচ থেকে ডুবে যাওয়া লঞ্চটির ক্রেনের মাধ্যমে টেনে তীরে তুলে আনে। রবিবার রাত থেকে সোমবার বিকাল পর্যন্ত মোট ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস নৌবাহিনী ও গার্ডের ডুবুরিরা পরে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার ভোর থেকে নদীর ভিন্ন স্থানের দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চ থেকে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া মরদেহ ভেসে উঠলে লোকজন পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এ ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। লঞ্চ দুর্ঘটনায় মোট ৩৫ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আরেফিন জানান, ভোর সকাল থেকে লাশ ভেসে উঠলে স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয় পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নদীর বিভিন্ন জায়গায় ভেসে ওঠা লাশগুলো উদ্বার করে নদীর পশ্চিম তীরে এনে রাখে। যাতে নিহতদের স্বজনরা লাশগুলো শনাক্ত করতে পারে।
Powered by : Oline IT