রাঙামাটিতে খুঁটি স্থানান্তরের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. বাপ্পী নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। একইদিন সকালে শহরের দেবাশীষনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাঙামাটি, পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
এদিকে তার মৃত্যুর ঘটনায় রাত ১০টার দিকে শহরের ভেদভেদী এলাকায় বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে কাজ করার কথা থাকলেও বিদ্যুৎ বিভাগ বিদ্যুৎ চালু রাখার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এসময় তারা নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান দিতে থাকে এবং পূর্বঘোষণা অনুসারে বিদ্যুৎ বিভাগ পুরো শহরে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার কথা থাকলেও সঞ্চালন লাইনে কেনো বিদ্যুৎ ছিলো তার কৈফিয়ত দাবি করেন। প্রায় দুইঘন্টা রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে অবস্থান নিয়ে সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ করে দেন তারা। রাত সাড়ে এগারোটায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে ফিরে যান তারা। তবে এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সকালে শহরে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
আন্দোলনকারী মো. হানিফ জানিয়েছেন,বিদ্যুৎ বিভাগ কাজের কথা বলে তাদের নিয়ে গেলো, কিন্তু তারা লাইনের ওপর মানুষ থাকা অবস্থায় কেনো লাইন চালু করলো ? তারা ঘোষনা দিয়েছে, বিকাল চারটা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে, কিন্তু দুপুর বারোটায় কেনো লাইনে বিদ্যুৎ চালু করলো? এই মৃত্যুর দায় পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী এড়াতে পারেন না।’
রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ কান্তি মজুমদার জানিয়েছেন, দেবাশীষনগর এলাকায় আমাদের বিদ্যুৎ বিভাগের কাজ করার সময় ঠিকাদারের একজন শ্রমিক লাইফলাইন স্পর্শ করায় দুর্ঘটনায় পড়ে। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত তাকে প্রথমে রাঙামাটি ও পরে চট্টগ্রামে পাঠাই,সেখানেই সে মারা গেছে। এটি নিছক একটি দূর্ঘটনা, এর জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের কোন দায় নেই। তবুও বিক্ষুদ্ধদের পক্ষ থেকে আলোচনার জন্য প্রতিনিধিরা এসেছে, আমরাও তাদের যথাসাধ্য সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি, কিন্তু তারা কথা শুনছে না। আমাদের অফিসের সামনে অবস্থান নিয়েছে। বিষয়টি আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও ঊর্ধতনদের সাথে আলাপ করছি।
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তাপস রঞ্জন ঘোষ জানিয়েছেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি, সেখানে পুলিশ গছে। বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বশীল এবং প্রতিবাদকারীদের সাথে আমরা কথা বলে প্রকৃত ঘটনা কি সেটা জানার চেষ্টা করছি। তারপর আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
Powered by : Oline IT