জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার শিহাটা গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারের পঞ্চম শ্রেণি পড়–য়া এক কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে আজ বুধবার প্রতিবেশী কালাম ওরফে কালা মিস্ত্রি নামের এক ব্যক্তিকে আসামি করে মেলান্দহ থানায় একটি মামলা দায়ের ও শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
পুলিশ ও শিশুটির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মেলান্দহ উপজেলার চরবানীপাকুরিয়া ইউনিয়নের শিহুরী গ্রামের সাইকেল গ্যারেজের মিস্ত্রি কালাম ওরফে কালা মিস্ত্রি (৪৫) গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পাশের শিহাটা গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারের ১২ বছরের কন্যাশিশুকে ফুঁসলিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে যায়।
শিশুটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। কালাম শিশুটিকে তার ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গেলে অবস্থা বেগতিক দেখে কালাম শিশুটিকে তার ঘরে রেখেই পাালিয়ে যায়। খবর পেয়ে শিশুটির বাবা-মা ও অন্যান্য স্বজনরা কালামের বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে।
শিশুটি তাকে নির্যাতনের ঘটনা খুলে বললে তাৎক্ষণিক বিষয়টি মেলান্দহ থানা পুলিশকে জানানো হয়। পরে রাতে মেলান্দহ থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান পুলিশ ফোর্স নিয়ে কালামের বাড়িতে হানা দেন। কিন্তু পুলিশ তার কোনো সন্ধান পায়নি। ওসি মো. আজিজুর রহমান শিশুটিকে উদ্ধার করে রাতেই মেলান্দহ থানায় নিয়ে যান।
এ ঘটনায় শিশুটির বড় ভাই বাদী হয়ে আজ বুধবার পলাতক কালামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে মেলান্দহ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে আজ বুধবার জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছে।
মেলান্দহ থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এটি অত্যন্ত পাশবিক ঘটনা। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আসামি কালামকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে।’
Powered by : Oline IT