নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, গত ৩১ শে জানুয়ারি রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর দুটো চিঠি দিয়েছিলাম। একটিতে আমি ৭৩৩ কেন্দ্রের ৪৮৭৮ টি বুথের ইভিএমের প্রিন্টিং রেজাল্ট চেয়েছিলাম। অন্যটিতে প্রতি ঘন্টায় ভোটের পার্সেন্টেজ কত ছিল তা জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু গত ১০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও তারা আমাকে তথ্য দেয়নি। আমি জালিয়াতির অভিযোগে কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করবো।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে ভোটগ্রহণের তথ্য চাইতে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত বলেন, সিটি নির্বাচন হয়েছিল ইভিএমে। তাই ভোটের রেজাল্ট দিতে সময় লাগতে পারে এক থেকে দুই ঘণ্টা। কিন্তু তাদের ভোট চুরি করতে সময় লেগেছে ১০ ঘণ্টা। ভোট যে চুরি করেছে তাও ঠিকমতো করতে পারে নাই। তাতেও গড়মিল, পত্রপত্রিকায় হেডলাইন হয়েছে প্রথম যে দিন ৭৩৩ সেন্টারের রেজাল্ট ঘোষণা দিয়েছিল, সেদিন আমাকে দুটি সেন্টারের শূণ্য ভোট দেওয়া হয়েছিল। তিন দিন পর অপর একটি রেজাল্ট শিটে দেখা গেল আমি ২২টি কেন্দ্রে শূন্য ভোট পেয়েছি। এতে বোঝা যায় তারা কি পরিমাণ ভোট জালিয়াতি করেছে। এ ঘটনায় আমরা অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবো।
বিএনপি মনোনীত এ প্রার্থী আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন, সরকার ও প্রশাসন নিরপেক্ষ না হলে নির্বাচন যে সুষ্ঠু হয় না, তার প্রমাণ চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন। এ বিষয়টি দেশের জনগণ দেখেছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান অন্তরায় অগণতান্ত্রিক সরকারের নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন ভোট ডাকাতি করে আমার বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে। এই কমিশনের অধীনে কোনও নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। এই নির্বাচন কমিশন ভোট ডাকাতি করার জন্য নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন অনেক জাতীয় পত্রিকায় হেডলাইন হয়েছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে ‘ভয়াবহ ভুতূড়ে কাণ্ড ঘটেছে’। এর মূল কারণ ইভিএমের ব্যবহার। কারণ এই ইভিএমে ভোটার ভেরিফায়েবল পেপার অডিট ট্রায়াল (ভিভিপিএটি) ব্যবহার অপরিহার্য ছিল। কিন্তু এই ইভিএমের সেটি নেই। যার ফলে ইভিএম একটি ভোট ডাকাতির মেশিন ছাড়া আর কিছুই নয়।
এসময় তার সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া উপস্থিত ছিলেন।
Powered by : Oline IT