নিখোঁজ এক কলেজ ছাত্রীর অনুসন্ধানে নেমে সোমবার রিয়াদ বিন সেলিম (৩৫) নামের ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়; উদ্ধার করা হয়েছে ছাত্রীকে।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম) পলাশ কান্তি নাথ জানান, রিয়াদ নিজেকে কখনও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউএসটিসি, এশিয়ান ইউমেন্স ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিচয় দেন।
“আবার কখনও ম্যাজিস্ট্রেট, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) চট্টগ্রামের সভাপতি ও ব্ল্যাড ডোনেটিং ক্লাবের সদস্য পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে সম্পর্ক করত রিয়াদ। পরে তাদের সাথে যোগাযোগ করে টাকা হাতিয়ে নিত।”
পলাশ বলেন, “বছর দুয়েক আগে চট্টগ্রামের এক কলেজছাত্রীর গৃহকর্মীর চিকিৎসায় রক্তের প্রয়োজন হয়েছিল। ফেইসবুকে রিয়াদ ব্ল্যাড ডোনেটিং ক্লাবের সদস্য পরিচয় দেওয়ায় রক্তের জন্য ওই ছাত্রী তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
“পরে রিয়াদের সঙ্গে ওই ছাত্রীর সাথে পরিচয় হয় এবং এক পর্যায়ে দুইজন প্রেমের সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ে। গত ২৬ ডিসেম্বর ওই কলেজছাত্রী বাসা থেকে পালিয়ে রিয়াদের কাছে চলে যান। এ ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে আকবর শাহ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।”
এ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে সন্ধ্যায় বাকলিয়া থানার কল্পলোক আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে রিয়াদকে গ্রেপ্তার করে ওই কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয় বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা পলাশ কান্তি।
কল্পলোক আবাসিক এলাকার বাসাটি রিয়াদ চ্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিচয় দিয়ে ভাড়া নিয়েছেন।
পলাশ কান্তি বলেণ, “উদ্ধারের পর ওই ছাত্রী জানিয়েছেন, তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাসা থেকে বের করে নিয়ে আসলেও ভাইয়ের মৃত্যুর কথা বলে তাকে বিয়ে করেনি। এছাড়াও বিভিন্ন সময় তিনি রিয়াদকে টাকাও দিয়েছেন।”
এছাড়াও রিয়াদ ওই ছাত্রীর দুই বান্ধবীকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও ওই ছাত্রী অভিযোগ করেছেন।
একে/এম