শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বন্দর থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, ভোলার বেলুমিয়ার চর এলাকার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে জামাল হোসেন (৩০), দৌলতপুর থানার চরপাতা এলাকার আবদুল জলিলের ছেলে মো. মানিক (২৪) ও ভেদুরিয়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. মনির হোসেন (২০)।
ভিকটিমের অভিযোগের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় ২৮ বছর বয়সী পোশাককর্মী ওই ভিকটিম তার স্বামীর সঙ্গে একটি দোকান খোঁজার জন্য বের হন। রাতে কাস্টম মোড় এলাকায় ৩ যুবক তাকে একটি টঙের দোকানের ভেতরে নিয়ে গিয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে বলে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। পরে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও তার স্বামীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা ঘটনার পর থেকে।
সিএমপির বন্দর জোনের সহকারী কমিশনার কীর্তিমান চাকমা জানান, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে শনিবার দিনভর বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন অভিযুক্তকে ধর্ষণের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনজনই ধর্ষণের কথা স্বীকার করে বলছে, তারা গ্যাং রেপ করেনি। উভয়ের সম্মতিতে টাকার বিনিময়ে তারা এ কাজ করেছে। ১৫শ টাকার কন্ট্রাক্ট হয়েছিল পরে ২শ টাকা বাড়তি চেয়ে না পেয়ে ভিকটিম তাদের ফাঁসিয়ে দিল।
তিনি আরও বলেন, ‘ভিকটিম চমেকের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে রয়েছে। তাকে ও তার স্বামীকে আনা হচ্ছে থানায়। পাশাপাশি আসামিদেরও মুখোমুখি করা হবে। ধর্ষণ হয়েছে নিশ্চিত কিন্তু এটা কি জোর পূর্বক গ্যাং রেপ নাকি কন্ট্রাক্ট রেপ তা নিশ্চিত হতে হবে। এরপর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
Powered by : Oline IT