পানছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি পানছড়ি উপজেলার ফাতেমা নগর জামে মসজিদ কমিটির সাবেক সভাপতি সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে ২৬ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে কোটিপতি বনে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। মসজিদের টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে এলাকায় আইন শৃংখলার অবনতির আশাংকায় ফাতেমা নগর জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম বাদি হয়ে শনিবার পানছড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
বর্তমান কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম,সম্পাদক খোরশেদ আলম অভিযোগ করে বলেন,সাবেক সভাপতি অবৈধ পন্থায় দীর্ঘ সাত বছর মসজিদ কমিটির দায়িত্বে থাকায় মসজিদের আয়ের উৎস থেকে প্রায় সাড়ে ২৬ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। যা চলতি বছরের ১৯ মার্চ শুক্রবার মসজিদের হিসাব নিকাশে ও এক সালিশে প্রমানিত হয়। সালিশে এক পর্যায়ে ১২ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানালেও পরক্ষনে সাব জানিয়ে দেন মসজিদের কোন টাকা পয়সা তার হাতে নেই।
এলাকার বাসিন্দা সোহাগ মজুমদার জানান, যার এক সময় নুন আনতে পান্তা ফুরাতো আজ সেই ব্যাক্তির দাপটে সাধারন মানুষ অসহায়। রাজনীতিতে বিএনপি করলেও কিছু আ.লীগ নেতার আশ্রয় প্রশ্রয়ে তার যেন দাপটের অন্ত নেই।
এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন,মসজিদের টাকা ফেরত না দেওয়ার কৌশলে সাবেক সভাপতির ভাইকে তাদের পারিবারিক কলহে রক্তাক্ত করে উল্টো সমাজের সত্যবাদি লোকজনকে মামলায় ফাসাঁনোর অপচেষ্টা করছে।
খোরশেদ আলম নামে এক ব্যাক্তি বলেন,সাবেক সভাপতি মসজিদের টাকা দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা করে আজ কোটিপতি। এক সময় তার পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরাতো। কিন্তু এখন মসজিদের টাকা ও ফেরত দিতে চাচ্ছে না। তার দাপটে সমাজের সাধরন মানুষ অতিষ্ট। তার অপকর্মের কথা কেউ বললেই তাকে মারপিটসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে থাকে বলে জানায় ভোক্তভোগীরা।
এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন,মসজিদের টাকা ফেরত না দেওয়ার কৌশলে সাবেক সভাপতির ভাইকে তাদের পারিবারিক কলহে রক্তাক্ত করে উল্টো সমাজের সত্যবাদি লোকজনকে মামলায় ফাসাঁনোর অপচেষ্টা করছে।
এ ব্যাপারে সালা উদ্দিন সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ার মারা গেছে হিসাবটা কে দেবে। আমার ভাইয়ের মৃত্যুর পর এবং ঠিকাদারী করে আমি টাকার মালিক হয়েছি । মসজিদের টাকা আত্মসাৎ করিনি কথাটা শেষ না করতেই খুব উচ্চস্বরে বলেন,আমার টাকা আছে, নিউজ করলেই সাংবাদিকের নামে মামলা করে দেব।
Powered by : Oline IT