দেশের উত্তরাঞ্চল,মধ্যাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলসহ প্রায় সারা দেশের ওপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। আগামী দুই দিন এই তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে গেলে সে সময় বাড়তে পারে কুয়াশার পরিমাণ। এদিকে এ মাসের শেষে আবারও শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, ‘বর্তমানে উত্তরাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল, পশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে শৈত্যপ্রবাহ। এটি আগামীকাল এবং পরশু অব্যাহত থাকতে পারে। মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের এই প্রবাহের এলাকা আরও বিস্তার লাভ করতে পারে। রবিবার (২০ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ গতকালের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগামী বুধবার থেকে তাপমাত্রা আরও কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে বেড়ে যাবে কুয়াশার পরিমাণ।’ আর এ মাসের শেষে অর্থাৎ ২৫/২৬ ডিসেম্বর আবারও শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে বলে তিনি জানান।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়,রংপুর বিভাগসহ সীতাকুণ্ড, ফেনী, পাবনা,বদলগাছি, চুয়াডাঙ্গা, শ্রীমঙ্গল, যশোর, বরিশাল ও ভোলা অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।এটি অব্যাহত থাকতে পারে। রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানায়,উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং আশেপাশের পশ্চিমাংশে অবস্থান করছে। মৌসুমি লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া অন্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
রবিবার দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেতুলিয়ায় সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা শনিবার ছিল রংপুর বিভাগের রাজারহাটে ৬ দশমিক ৬। এছাড়া ঢাকায় ১৩ দশমিক ৫, ময়মনসিংহ ১০ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৩ দশমিক ২, সিলেটে ১১ দশমিক ৭ রাজশাহীতে ১০ দশমিক ৪, রংপুরে ১১, খুলনায় ১০ দশমিক ৫ এবং বরিশালে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
Powered by : Oline IT