ক্র্যাশ প্রোগ্রামের অধীনে নালা-নর্দমা-খালে আবর্জনা ও মাটি মুক্ত করার কাজ চলমান থাকবে জানিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই যেখানে জলজট হতে পারে সেখানে স্বাভাবিক পানি চলাচল ও পানি নেমে যাওয়ার প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করা হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে চাক্তাই খালের যেসব স্থানে বাঁধ দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে জমাট পানি সরে যেতে বিকল্প পথ তৈরি করার জন্য প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাহলে এ বছর নগরীর জলাবদ্ধতা না হলেও জলজট সমস্যা প্রকট হবে না।
শনিবার (২০ মার্চ) সকালে ক্র্যাশ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে নগরীর বহদ্দারহাট মোড় থেকে বাড়াইপাড়া রাস্তার মুখ পর্যন্ত বড় নালায় জমাট আবর্জনা ও মাটি মুক্তকরণ পরিদর্শনে গিয়ে মেয়র এসব কথা বলেন।
রেজাউল করিম বলেন, নগরীর যে অংশে বর্ষায় স্থায়ী জলজট হয় সেখানকার মোট নালা-নর্দমা-খালের ৫০ শতাংশও পানি প্রবাহ পথ যদি বাধামুক্ত করা সম্ভব হয় তা হলে বর্ষায় জলাবদ্ধতা সমস্যা সহনীয় মাত্রায় থাকবে।
নগরবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, নালা-নর্দমার ওপর অননুমোদিত স্ল্যাব স্থাপন দণ্ডনীয় অপরাধ। আর যারা বাড়ি দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে নালা-নর্দমাকে ডাস্টবিন বানিয়ে ফেলেছেন এগুলো নিজ উদ্যোগে সরিয়ে না ফেললে তাদেরকে শাস্তি পেতে হবে। পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি করপোরেশনের একার নয়, নগরীতে বাস করতে হলে প্রত্যেক নাগরিককে দায়িত্বশীল হয়ে কিছু আইন-কানুন মেনে চলতে হবে।
এ সময় অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সিদ্দিক, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব শর্মা এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলামে নেতৃত্বে নগরীর কয়েকটি স্থানে প্যাচ ওয়ার্ক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এতে প্রকৌশল বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
Powered by : Oline IT