চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ফের ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ।
বুধবার (২৮ মার্চ) দুপুরে শাহজালাল হলের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সোরওয়ার্দী হলে তল্লাশী চালায় পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- অনিষ চাকমা, মো. নাঈম, মো. সোহান, আবু নাঈম শুভ ও মাজহারুল কবির। এরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
বিবাদমান দুই গ্রুপ নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছিরের অনুসারী। এর মধ্যে সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতৃত্ব রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল মনছুর ও ভিএক্স এর নেতৃত্ব রয়েছে ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দফতর সম্পাদক মিজানুর রহমান বিপুল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত মঙ্গলবার ছাত্রলীগের দু গ্রুপের ঘটনায় বুধবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। এর মধ্যে ভিএক্স গ্রুপের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী ও সিক্সটি নাইনের কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে সশস্ত্র মহড়ায় অবস্থান নেয়। দুপুর একটার দিকে হঠাৎ করেই সিক্সটি নাইনের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে গিয়ে প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় ভিক্সের নেতা কর্মীরাও সোহরাওয়ার্দী হলের ভেতর থেকে পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আটক করা হয় সিক্সটি নাইনের পাঁচ কর্মীকে।
এর আগে গত মঙ্গলবার সংঘর্ষের জের ধরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফোরকান ও অনিন্দ্য নামে সিক্সটি নাইনের দুই কর্মীকে পিটিয়ে আহত করে ভিএক্স গ্রুপের কর্মীরা। এছাড়া ওই দিন সংঘর্ষের ঘটনায় আহত তিন জনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে হৃদয় নামে ভিএক্স এর এক কর্মীকে মারধর করে সিক্সিটি নাইনের কর্মীরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, “ছাত্রলীগের উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা দুপুরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছিল। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সন্দেহ জনক কয়েকজনকে আটক করে হাটহাজারী থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
জনতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মনছুর আলম বলেন, বুধবার তেমন কোনো ঘটনা হয়নি। তবে গতকালের (মঙ্গলবার) সংঘর্ষের ঘটনায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে উভয় গ্রুপের সিনিয়ররা বসে কথা বলবো।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দফতর সম্পাদক মিজানুর রহমান বিপুল বলেন, “গতকাল (মঙ্গলবার) ঘটনার জের ধরে আজকে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। নাছির ভাইয়ের নির্দেশে উভয় গ্রুপের সিনিয়ররা বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।”
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় পাঁচ জন।
Powered by : Oline IT