নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুমে বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা ইয়াবা কারাবারি নিহতের দাবি জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোররাত ৪টার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের গর্জনবনিয়া চাকমাপাড়া সীমান্তে এ বন্দুকযুদ্ধ সংঘটিত হয় বলে জানানো হয়েছে। বিজিবির দাবি এ ঘটনায় বিজিবির দুই সদস্যও আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ পিস ইয়াবা, দুটি একনলা বন্দুক, চারটি তাজা কার্তুজ ও দুটি খোসা উদ্ধার করা হয়। নিহত ইয়াবাকারবারিরা হলো কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি/২ ব্লকের ফোরকান মাহমুদের ছেলে মো. জোবায়ের (২৮) ও একই এলাকার লম্বাশিয়া ২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি/৩ ব্লকের হামজা মিয়ার ছেলে দিল মোহাম্মদ (২৫)।
কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির সহকারী পরিচালক মো. ইয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সীমান্তের রেজুপাড়া বিওপির সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কিছু ইয়াবা ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে রেজুপাড়া বিওপির দুটি টহল দল সীমান্তের ৪০ নম্বর পিলার থেকে আনুমানিক ৩ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৩ নম্বর ঘুমঘুম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গর্জনবুনিয়া চাকমাপাড়া ব্রিজের পূর্বপাশে পাহাড়ের ঢালুতে অবস্থান নেয়। পরে ভোররাতের দিকে ৫/৬ জনের একটিদল পাহাড়ি এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের দিকে আসতে দেখে। পরে বিজিবি সদস্যরা চ্যালেঞ্জ করলে তারা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে টহল দলকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ শুরু করে। এ সময় টহল দল তাদের জান-মাল রক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। এক পর্যায়ে অজ্ঞাতনামা ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পাহাড়ি জঙ্গলের ভেতরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজন ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেন এবং ১ লাখ পিস ইয়াবা ও দেশীয় দুটি একনলা বন্দুক, চারটি তাজা কার্তুজ ও দুটি খোসা উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহতদের মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
Powered by : Oline IT