দুই দিনেও খোঁজ মেলেনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফাইন্যান্স বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এসএম আবরার লাবিবের। উল্টো লাবিবকে উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) পরিচয় দিয়ে চবি প্রশাসন ও নিখোঁজের পরিবারে কল করেছে অজ্ঞাত প্রতারক চক্র।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর একটার দিকে নিজেকে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জসিম উদ্দিন পরিচয় দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়াকে কল দেন এক ব্যক্তি। তিনি লাবিবকে উদ্ধারের খবর জানান। পরে লাবিবের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, নিজেকে এসআই পরিচয় দিয়ে একজন কল দেন। তিনি জানান যে- ভোর সাড়ে চারটার দিকে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের একটি সিগন্যালের কাছ থেকে হাত-পা বাঁধা ও অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে পত্রিকায় নিখোঁজ চবি শিক্ষার্থীর ছবি দেখে সাংবাদিকের মাধ্যমে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমি তাকে লাবিবের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেই।
এ বিষয়ে লাবিবের ফুফাতো ভাই ও চবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শোয়েব আরমান জানান, এসআই জসিম পরিচয়ে আমাদের সঙ্গে একজন যোগাযোগ করেন। কিন্তু সেটা ভুয়া। পরে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। আর লাবিবের এখনও কোন খোঁজ মেলেনি।
এর আগে ‘এসআই জসিম উদ্দিন’ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তির সঙ্গে কথা বললে তিনি সিভয়েসকে বলেছিলেন, ‘ভোরে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছি। এখন তাকে নিয়ে ব্যস্ত আছি, এই মুহুর্তে কথা বলা সম্ভব না।’
এদিকে নগরীর ডবলমুরিং থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসএম মানিক বলেন, নরসিংদী থেকে এসআই পরিচয় দেয়া ব্যক্তিটি ভুয়া। সেখানে জসিম উদ্দিন নামে কোন এসআই নেই। কাউকে উদ্ধার কিংবা হাসপাতালে ভর্তিরও কোন ঘটনা নরসিংদীতে ঘটেনি।
তিনি বলেন, লাবিবকে উদ্ধার করতে আমাদের পদক্ষেপ অব্যাহত আছে। এটা তদন্তাধীন বিষয়। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
এর আগে মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন লাবিব। ওই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে লাবিবের বাবা। সেখানেই বাবার দেখাশোনা করতেন লাবিব। নিখোঁজের পরদিন ডবলমুরিং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে লাবিবের পরিবার।
Powered by : Oline IT