বৃহস্পতিবার বিকালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাশহুদুল কবীরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিটি জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।
তদন্তে যেসব কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলো হলো- অব্যবস্থাপনা, রীমা কমিউনিটি সেন্টারের প্রবেশ পথের নির্মাণ ত্রুটি, অতিরিক্ত মানুষের ভিড় এবং অপর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক।
প্রতিবেদনে কয়েকটি সুপারিশও করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে- রীমা কমিউনিটি সেন্টারের প্রবেশ পথের নির্মাণ ত্রুটি সারানো, এ ধরনের আয়োজনে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক রাখা, সর্তকতা অবলম্বন করা।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, “এ ধরনের বড় আয়োজনে অব্যবস্থাপনাই দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। আয়োজনের ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি রীমা কমিউনিটি সেন্টারের প্রবেশ পথে নির্মাণ ত্রুটি ছিল।
“ভবিষ্যতে এ ধরনের বড় আয়োজনের আগে যেন সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।”
এর আগে ২১ ডিসেম্বর এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন দেয়। সেই প্রতিবেদনেও অতিরিক্ত ভিড়ের পাশাপাশি অব্যবস্থাপনা ও রীমা কমিউনিটি সেন্টারের নির্মাণ ত্রুটির বিষয়টি দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
রীমা কমিউনিটি সেন্টারের প্রবেশপথের নির্মাণ ত্রুটি সারাতে ২৫ ডিসেম্বর থেকে কাজ শুরু করেছে মালিক কর্তৃপক্ষ।
গত ১৮ ডিসেম্বর নগরীর ১৩টি কমিউনিটি সেন্টার এবং মহিউদ্দিনের বাসায় কুলখানির আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে রীমা কমিউনিটি সেন্টারে মেজবানে লোকজন প্রবেশের সময় পদদলনে ১০ জনের মৃত্যু হয়।
একে/এম