তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিশেষ কিছু ব্যক্তির হাতে ক্যাবল নেটওয়ার্ক কুক্ষিগত থাকতে পারে না। তিনি বলেন, ‘একেকজন ক্যাবল নেটওয়ার্ক লাইসেন্সধারী লাখ লাখ সংযোগ দিয়েছেন, কিন্তু হিসাবের খাতায় ২ থেকে ১০ হাজার দেখাচ্ছেন। মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করবে, যিনি যে এলাকার জন্য লাইসেন্স পেয়েছেন, তিনি সেই এলাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবেন। সেজন্য প্রয়োজনে আমরা কোর্ট পরিচালনা করবো।’
রবিবার (৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্যাবল অপারেটর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় অ্যাসোসিয়েশন অব টিভি চ্যানেল ওনার্স-এটকো’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোজাম্মেল বাবু, ক্যাবল অপারেটর প্রতিনিধিদের মধ্যে এস এম আনোয়ার পারভেজ, এবিএম সাইফুল হোসেন, মোহাম্মদ নাজমুদ্দোহা, মোস্তাফিজুর রহমান, কোয়াব প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তফা জামাল হায়দার এবং মন্ত্রণালয় ও বিটিভির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশ ডিজিটাল হয়ে গেছে। ক্যাবল নেটওয়ার্ক সিস্টেমকেও ডিজিটাল হতে হবে। কারণ, এটি না হলে গ্রাহকরা ঠিক সেবা পাচ্ছেন না। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সরকারও ঠিকভাবে রাজস্ব পাচ্ছে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘নবায়ন না করার ফলে এরইমধ্যে ১২শ’ লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে আত্মপ্রকাশের শর্তে নতুন অপারেটররা লাইসেন্স পাবেন।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘করোনার প্রাদুর্ভাবের প্রথমবার সাধারণ ছুটিতেও আমাদের মন্ত্রণালয় কাজ করেছে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, তথ্য অধিদফতর, গণযোগাযোগ অধিদফতর— এগুলো জরুরি সেবার আওতাভুক্ত। তাদের কাজ করতেই হয় এবং সেটি দেখভাল করার জন্য মন্ত্রণালয়ের সীমিত কাজ করতে হয়। আমরা ঠিক অতীতে যেভাবে করেছি, এবারও সেভাবেই করবো।’
Powered by : Oline IT