এরইমধ্যে ৪টি মুসলিম দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক-অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে সমর্থ হয়েছে ইসরায়েল। সম্প্রতি একজন ইসরায়েলি মন্ত্রী বলেছেন, এবার তারা সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ৫ম দেশটি খুঁজছে, সম্ভবত সেটি এশিয়ার কোনও দেশ। তবে সেই দেশটি যে বাংলাদেশ নয়, ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স তা নিশ্চিত করেছে। ঢাকার কূটনৈতিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে তারা জানিয়েছে, বাংলাদেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে না।
গত কয়েক মাসে হোয়াইট হাউসের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে চার মুসলিম দেশ- সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কো। আগামী ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে কোনও পঞ্চম মুসলিম দেশের সঙ্গে সম্পর্ক হবে কি না জানতে চাইলে ইসরায়েলের আঞ্চলিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী অফির আকুনিস স্থানীয় একটি টেলিভিশনকে বলেন, ‘আমরা সেই দিকেই কাজ করছি।’তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি… শান্তিচুক্তির ভিত্তিতে আরেকটি দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে প্রকাশ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করছে, এ ধরনের একটি মার্কিন ঘোষণা আসবে।’
আকুনিস জানান, সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে পরবর্তী দু’টি দেশ বাছাই করা হয়েছে। এসময় সরাসরি দেশ দু’টির নাম উল্লেখ না করলেও তিনি বলেন, এর একটি হবে উপসাগরীয় দেশ, তবে সেটি সৌদি আরব নয়, বরং ওমান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ‘আরেকটি হবে আরও পূর্বাঞ্চলীয় দেশ। সেটি এমন কোনও মুসলিম দেশ হবে, যা খুব একটা ছোট নয়। তবে সেই দেশটি পাকিস্তান নয়।’
এদিকে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স বলছে, বাংলাদেশেরও ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের আগ্রহ নেই। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের অবস্থান একই রয়েছে।’
রয়টার্সের বুধবারের প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে গত সেপ্টেম্বরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিবিসি বাংলা’কে বলেছিলেন, তাদের সরকার নৈতিকতার জায়গা থেকে ফিলিস্তিনি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের পক্ষে রয়েছে এবং থাকবে।
Powered by : Oline IT