চট্টগ্রাম আদালতে দুই আইনজীবীকে মারধর ও লাঞ্চিতের অভিযোগে হাজতখানার ৪ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
জেলা আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন সিভয়েসকে এ তথ্য নিশ্চিত করলেও এ বিষয়ে সিএমপির পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে যুবলীগ কর্মী জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রকাশ মারুফ চৌধুরীর হত্যা মামলায় চার আসামিকে কেন্দ্র করে হাজতখানার সামনে আইনজীবী ও হাজখানা পুলিশের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
প্রত্যাহার হওয়া চার পুলিশ সদস্য হলেন, কন্সটেবল রাজন, হাসনাত, আসাদ ও শাহজাহান।
পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, হাজতখানা থেকে খুনের মামলার চারজন আসামিকে পুলিশ ভ্যানে তোলারসময় কয়েকজন সাংবাদিক তাদের ছবি তুলতে গেলে আসামিদের আইনজীবীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়ে শারীরিকভাবে তাদের লাঞ্চিত করেন।
আইনজীবীরা বলছেন, যুবলীগ কর্মী জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ মারুফ চৌধুরী খুনের মামলায় আসামিদের সাথে কথা বলতে গেলে হাজতখানার পুলিশ আইনজীবী শরফুদ্দীন ও আনু মুহম্মদকে জোরপূর্বক হাজতখানার ভেতরে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে কয়েকজন আইনজীবীকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘পুলিশ দ্বারা আইনজীবী লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা দুঃখজনক। বিষয়টি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কমিশনারকে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে চারজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। হাজতখানা থেকে তাদের প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।’
এদিকে মুহাম্মদুল্লাহ মোজাহের নামে ভুক্তভোগী এক আইনজীবী বলেন, ‘আমাদের লাঞ্চিত করার ঘটনায় হাজতখানার পুরো টিমই জড়িত। দুয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াটা দুঃখজনক। আমাদের প্রত্যাশা ছিল, পুরো টিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।’
এসব বিষয়ে কথা বলতে আদালত পুলিশের (প্রসকিউশন) সহকারী কমিশনার ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২০ জানুয়ারি) সকালে ডবলমুরিংয়ের জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রকাশ মারুফ চৌধুরী খুনের মামলার এজহারভুক্ত চারজন আসামি মহানগর দায়রা জজ আশফাকুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাদের আদালতের হাজতখানায় নিয়ে রাখা হয়। চারজন আসামি হলেন, কিশোর গ্যাং লিডার মোস্তফা কামাল টিপু, মাহবুব, মোহাম্মদ রাব্বি ও ফয়সাল খান।
Powered by : Oline IT