সরকারের মেয়াদের শেষ সময়ে আরও দুটি ব্যাংক অনুমোদন দেওয়ার গুঞ্জনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেছেন, “দুটি নয়, তিনটি নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেওয়া হবে।”সোমবার ঢাকা ক্লাবে ‘প্রটেক্টিং পুওর : এমার্জিং মাইক্রো ইন্সুরেন্স মার্কেট ইন দ্য সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকরা নতুন ব্যাংক নিয়ে প্রশ্ন করেন অর্থমন্ত্রীকে।বাংলাদেশে এখন সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে অর্ধশত বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় বেশি বলে অধিকাংশ ব্যাংকারই মনে করেন।আওয়ামী লীগ সরকার আমলে কয়েক বছর আগে ছয়টি নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেওয়া হয়, রাজনৈতিক বিবেচনায় ওই ব্যাংকগুলোর অনুমোদন দেওয়া নিয়েও সমালোচনা রয়েছে।গত কয়েক বছর ধরেই ব্যাংক খাতের ঋণ কেলেঙ্কারি আলোচিত ঘটনা। সর্বশেষ অনুমোদন পাওয়া কয়েকটি ব্যাংকও ঋণ কেলেঙ্কারিসহ তারল্য সঙ্কটে ধুকছে।এই অবস্থায় আরও ব্যাংক অনুমোদন দেওয়া যৌক্তিক কি না- এ প্রশ্নের উত্তরে মুহিত বলেন, “সমস্যা নেই। আমাদের অনেক ব্যাংক আছে ঠিক, কিন্তু তারপরও প্রচুর অঞ্চল ব্যাংক সেবার বাইরে আছে। এ কারণেই নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।”সমস্যা সমাধানে কয়েকটি ব্যাংক একীভূত করার চেষ্টা চলছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকগুলোর তারল্য সঙ্কট কাটাতেও সরকার কাজ করছে।ব্যাংক খাত নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছে সরকার। বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত দুদিনের বার্ষিক সম্মেলনে ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।সম্মেলনে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দুই অঙ্কের কোঠা অতিক্রম করায় তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিআইবিএম মহাপরিচালক অধ্যাপক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী।
Powered by : Oline IT